Which stories of Sarat Chandra Chattopadhyay loved by foreign?

 

Which stories of Sarat Chandra Chattopadhyay loved by foreign?

 

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র


“ যাহার অমর প্রাণ প্রেমের আসনে 

ক্ষতি তার ক্ষতি নয় মৃত্যুর শাসনে ।

 


* ভূমিকা• রবীন্দ্র প্রতিভার সৌরদীপ্তিতে যখন বাংলার সাহিত্যাকাশ উজ্জ্বল ও ভাস্বর ঠিক তখনই শরৎচন্দ্রের আত্মপ্রকাশ । রবীন্দ্রনাথের বড়াে পরিচয় তিনি কবি ,


  আরশরশ্চন্দ্রের সর্বোচ্চ খ্যাতি হল কথা শিল্পী রূপে । সমাজের বঞ্চিত , নিপীড়িত মানুষদের জন্যই তিনি । লেখনী ধরেছিলেন । এ সম্পর্কে তার নিজের কথা  ঃ “ সংসারে যারা শুধু দিলে পেল না কিছুই , যারা বঞ্চিত , যারা দুর্বল , যারা উৎপীড়িত , মানুষ হয়েও মানুয যাদের চোখের জলের কোনাে হিসেব নিলে না , নিরুপায় দুঃখময় জীবনে যারা ভেবেই পেল না সমস্ত , থেকেও নেতাদের কিছুতেই অধিকার নেই—


 এদের বেদনাই দিলে আমার মুখ খুলে , এরাইপাঠালে আমাকে মানুষের কাছে মানুষের হয়ে নালিশ জানাতে । ” তাইশরৎসাহিত্যে আমরা লক্ষ করি বঞ্চিত মানবাত্মার করুণ মুখ সব হারানাে মানুষের হাহাকার ।


 আমি বি.এ. তৃতীয় বর্ষের ছাত্র । মহাবিদ্যালয়ের পাঠক্রমের বাইরে কিছু কিছুবই অধ্যয়ন করেছি এর মধ্যে যাঁর লেখা আমার হৃদয় হরণ করেছে , তিনি হলেন বাংলার কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।(Which stories of Sarat Chandra Chattopadhyay loved by foreign?)


Is Sarat Chandra Chatterjee was any son or daughter?


বংশ পরিচয়• বাংলা কথা সাহিত্যের সর্বাধিক জনপ্রিয় শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায় এবং মাতার নাম ভুবেনশ্বরী দেবী।(Which stories of Sarat Chandra Chattopadhyay loved by foreign?)


 বাল্যকাল ও শিক্ষাঃ ছেলেবেলায় প্যারী পন্ডিতের পাঠশালায় তার সিদ্ধেশ্বর মাষ্টারের বাংলা স্কুলে শরৎচন্দ্র কিছুদিন লেখাপড়া করেন । ছাত্র হিসাবে তিনি ছিলেন মেধাবী । তারপর বিহারের ভাগলপুরে মাতুলালয়ে তার পরবর্তী শিক্ষাজীবন শুরু হয় । 

১৮৯৪ সালে সেখানকার তেজনারায়ণ জুবিলী কলেজিয়েট হাইস্কুলে থেকে শরৎচন্দ্র দ্বিতীয় বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । বিখ্যাত সাহিত্যিকও সংবাদপত্র সেবী পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সেইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ।

 তারপর তিনি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বটে , পড়াশুনাও নিয়মিত করেছিলেন কিন্তু ; এফ.এ. পরীক্ষায় ২০ টাকা ফী জোগাড় করতে পারেননি বলে । তার আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি । স্কুল কলেজে লেখা পড়ার এখানেই ইতি ঘটে ।(Which stories of Sarat Chandra Chattopadhyay loved by foreign?)


sarat chandra chattopadhyay ke kitne bhai bahan the unka naam kya the.


 কর্মজীবনঃ পিতার মৃত্যুর পর কোলকাতায় আসেন শরৎচন্দ্র । সেখানে উকিল লালমােহন গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে ওঠেন । তাঁর কাছেই মাসিক ৩০ টাকা বেতনের চাকুরী জুটিয়ে নেন ।

 তারপর ১৯০৩ সালে তিনি বিদেশে পাড়ী দেন । উপস্থিত হন সুদুর ব্রদেশের রেঙ্গুন শহরে । রেলওয়ে অডিট অফিসে তিনি একটা অস্থায়ী চাকুরি জুটিয়ে নেন । এইব্রয় । প্রবাসেশরৎচন্দ্র প্রথমা স্ত্রী শান্তিদেবী এবং তাদের একমাত্র শিশু কন্যাকে হারান দুরন্ত প্লেগ রােগে ।

 তারপর তিনি সেখানেই এক দরিদ্র ঘরের বিধবা কন্যা মােক্ষদাদেবীকে বিবাহ । করেন । পরে তার নাম রাখেন হিরন্ময়ী দেবী । ১৯১৫ সালে তিনি স্বদেশে ফিরে আসেন । আত্মনিয়ােগ করেন নিবিড় সাহিত্য সাধনায় ।(Which stories of Sarat Chandra Chattopadhyay loved by foreign?)


 * রচনা সম্ভার ও সাহিত্য কীর্তিঃ বেশ পরিণত বয়সে শরৎচন্দ্র পরিপক্ক রচনা নিয়ে । বাঙালী পাঠক সাধারণের কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন । তবে তার সাহিত্য সাধনা শুরু ।

 হয়েছিল নিতান্ত বাল্য কৈশাের বয়সেই । মাত্র ১৪ বছর বয়সে সহপাঠী বংশীনাথকে নিয়ে । ঐ নামে একটি গল্প লিখে তিনি কুন্তলীন ’ পুরস্কার পান ।


 তার সারস্বত সাধনার শ্রেষ্ঠ ফসল — বড়দিদি ’ , ‘ বিরাজ বৌ ’ , ‘ বিন্দুর ছেলে ’ , ‘ পরিণীতা ’ , ‘ পন্ডিত মশাই ’ , ‘ মেজদিদি , ‘ পল্লীসমাজ ’ , ‘ চন্দ্রনাথ ’ , ‘ বৈকুন্ঠের উইল ’ , ‘ শ্রীকান্ত ’ ( চারপর্বে ) , ‘ দেবদাস ’ , ‘ নিস্কৃতি , চরিত্রহীন ’ , ‘ দত্তা ’ , ‘ গৃহদাহ ’ , ‘ পথেরদাবী ’ , ‘ শেষ প্রশ্ন ’ , ইত্যাদি । এই উপন্যাস গুলাে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে শরৎচন্দ্রকে অমরতার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে । ছােট গল্পেও তিনি খ্যাতির শীর্ষে ছিলেন । মহেশ ’ , ‘ অভাগীর স্বর্গ ’ , ‘ একাদশী বৈরাগী ’ , তাঁর উৎকৃষ্ট ছােট গল্পগুলির মধ্যে অন্যতম ।(Which stories of Sarat Chandra Chattopadhyay loved by foreign?)


What is name of the pet dog of Sarat Chandra Chattopadhyay?


 * বৈশিষ্ট্য : শরৎচন্দ্রের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ছিল বিচিত্র । এই অভিজ্ঞতাই হল তার সৃষ্টির মূল কথা এবং জনপ্রিয়তার কারণ । চন্দ্রের স্নিগ্ধ কিরণের মতই শরৎ সাহিত্য সমস্ত মানুষকে আপন করেছে ।

 তিনি ছিলেন সমাজের উৎপীড়িত , নিপীড়িত , বঞ্চিত মানুষের লেখক । তাই তার উপন্যাস , গল্পে আমরা শুনতে পাই বঞ্চিত মানব আত্মার ক্রন্দন ধ্বনি , সামাজিক কুসংস্কার , ধর্মের নামে ভন্ডামি , তথাকথিত সমাজপতিদের মানবতাহীন বিধান প্রভৃতির বিরুদ্ধে শরৎচন্দ্র লেখনী ধারণ করেছিলেন ।


 এক অকৃত্রিম দরদ দিয়ে তিনি তার রচনার চরিত্র গুলিকে অঙ্কণ করেছেন । তাই তাঁর উপন্যাসে আমরা যে কাহিনী পাই , তা আমাদের বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি । তার সৃষ্ট চরিত্রগুলি সুখ - দুঃখে , মিলন - বিচ্ছেদে গঠিত আমাদের সমাজেরই পরিচিত চেনা মানুষ ।

 পাপীকে নয় , পাপকে , অন্যায়কারীকে নয় , অন্যায়কে তিনি ঘৃণা করতে শিখিয়েছিলেন । এই কৈশাের জীবনে তিনি তার রচনার দ্বারা আমার অনুভূতিকে নাড়া দিয়েছিলেন তীব্রভাবে । তাই তার গল্প উপন্যাস পড়ার সময় মনের ক্যানভাসে ফুটে ওঠে পল্লীর শতছিন্ন , শত জীর্ণ বিশ্বস্ত চিত্র।(Which stories of Sarat Chandra Chattopadhyay loved by foreign?)

sarat chandra chattopadhyay ki shiksha ke prati kya ruchi thi


 উপসংহারঃ ১৯৩৮ সালের ১৬ ই জানুয়ারী পরাধীন ভারতবর্ষে শরৎচন্দ্রের মৃত্যু হয় । তাঁর মৃত্যুর পর কেটে গেছে অনেক বছর । পরিবর্তন হয়েছে রাষ্ট্রের , পরিবর্তন হয়েছে । মানুষের এবং রুচির ; কিন্তু বাঙালী পাঠকের হৃদয়ে অপরিবর্তিত রয়ে গেছেন শরৎচন্দ্র 



। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় “ তিনি বাঙালীর বেদনার কেন্দ্রে আপন তুলির স্পর্শ দিয়েছেন । সাহিত্যে উপদেষ্টার চেয়ে স্রষ্টার আসন উচ্চে । চিন্তাশক্তির বিতর্ক নয় , কল্পনাশক্তির দৃষ্টিই সাহিত্যে শাশ্বত মর্যাদা পেতে থাকে । কবির আসন থেকে আমি সেই স্রষ্টা , সেই স্রষ্টা শরৎচন্দ্রকে মাল্যদান করি ” বাঙালী পাঠক যুগে যুগে এই মহান সাহিত্যিককে বরণ করে নেবেভক্তির অর্ঘ্য দিয়ে ।


Post a Comment

0 Comments