Bengali story

Bengali story )

( Bengali story )




 Bengali story )

Bengali story


Bengali story )
 সাক্ষাৎকার গ্রহণঃ প্রতিবেদকঃ নমস্কার । বিদেশ থেকে কবে ফিরলেন ? ডঃ মুখার্জী  ঃ গত সপ্তাহে । প্রতিবেদকঃ সব কুশল তাে ? ডঃ মুখার্জীঃ হ্যাঁ । প্রতিবেদকঃ আমি এইসময় ’ পত্রিকার পক্ষ থেকে আসছি । আপনার একটি সাক্ষাৎ নেব বলে এসেছি । ডঃ মুখার্জী  ঃ বলুন । প্রতিবেদকঃ প্রতিদিনই প্রায় গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারছি ‘ সাইবার ক্রাইম’এক খুব উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে ? এর কারণ কী ? 

 ডঃ মুখার্জী : দেখুন , বিজ্ঞানের দুটো দিক – একটা ভালাে , একটা মন্দ । ভালাে পশ্চাৎধাবন করেইআসে মন্দ।সুতরাংক্রাইম বিজ্ঞানের সৃষ্টিনয় , মানুষের প্রতিবেদকঃ আচ্ছা , প্রতিদিন শুনতে পাচ্ছি মােবাইল নিয়ে কথা বলতে বলতে রাত পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে , তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছেনা।কারণ । ডঃ মুখার্জী ও মদ খেলে শরীরের ক্ষতি জেনেও কেন মানুষ মদখায় ? কারণ হল নেশ মােবাইল এখন একটা নেশার বস্তু । মানুষ যখন এর মাধ্যমে কথা বলে তখন সে বাস্তবকে কিছুটা হলেও ভুলে যায় । তার চেতনা বা Sers বেশির ভাগটাই মােবাইল কেড়ে নেয় । ফলে সে কোথা দিয়ে হাঁটছে । কোথায় আছে , তা বুঝতে পারে না ।

Bengali story



প্রতিবেদকঃ মােবাইলের ব্যাপক প্রচলন যুবসমা ( Bengali story ) জে ওপরকীভাবে প্রভাব ফেলেছে ? 

 ডঃ মুখার্জীঃ মােবাইল আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার । মানুষ এখন গতির । সলাত ( নাচিত যুগের বাসিন্দা।তাই মােবাইল একটি অপরিহার্য যােগাযােগ মাধ্যম । কিন্তু যুবক - যুবতীরা বর্তমানে বড় বেশি মােবাইল নির্ভর । শুধু গান শােনা নয় , প্রয়ােজনে অপ্রয়ােজনে তারা বন্ধুবান্ধবদের সাথে প্রতিমুহূর্তেকথা বলছে । এতে তাদের দেশ ও সমাজ সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা লােপ পাচ্ছে । তাছাড়া মানসিক অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে এই মােবাইল থেকেই । 

বন্ধুদের সঙ্গে । তর্ক - বিতর্ক , মান - অভিমান তার মনকে প্রতিনিয়ত বিচলিত করছে । প্রতিবেদকঃ সম্প্রতি ইন্টারনেট , টুইটার এবং ফেসবুক প্রভৃতির মাধ্যমে ক্রাইম ’ বৃদ্ধি পাচ্ছে । এ সম্পর্কে আপনার মতামত কী ? ডামুখার্জীঃ এ ব্যাপারে মানুষকে খুব সচেতন হতে হবে । অপরিচিত কোনাে ব্যক্তির ফেসবুক , টুইটার এড়িয়ে যেতে হবে । পরিচিত গেম ছাড়া হঠাৎ কারাে সাথে বন্ধুত্বকরা ঠিক নয় । অনেকদুবৃত্ত এগুলির সাহায্যে মানুষকে প্রতারণা করছে । এমনকি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জেনে নিয়ে নকল ATM কার্ড বানিয়ে নিচ্ছে । ফলে ব্যাঙ্কেরঅ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছেটাকা।ইতিমধ্যে আমাদের রাজ্যে একাধিক খুনের ঘটনাও ঘটেছে । তাছাড়া এই দুবৃর্ত্তেরা ইন্টারনেটে অশ্লীল ছবি প্রচার করে মানুষকে Black Mail করছে । 

প্রতিবেদকঃ এই সব বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ কী খুব জরুরী ? ভঃ মুখার্জী : অবশ্যই।তার আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে । দুবৃত্তেরা নানা কৌশল আবিষ্কার করছে । ধরা পড়ছে , কাজ হাসিল হয়ে যাবার পর । কোনাে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করা গেলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ইনফর্ম করতে হবে ।

Bengali story


 প্রতিবেদকঃ মােবাইল ফোনে আর কী কী ক্ষতি হচ্ছে ? উঃমুখার্জী ও মানুষের মাথার যন্ত্রণা বাড়ছে , পরিবেশের পাখি , ফল ইত্যাদির ক্ষতি হচ্ছে । 

অপরাধীরা এর সাহায্যে পরস্পরের সাথে খুব দ্রুত যােগাযােগ রক্ষা করতে সক্ষম হচ্ছে । কিশাের মতী ছাত্র - ছাত্রীরা পড়াশুনায় মনােযোেগ হারিয়ে ফেলছে । বাড়ছে মানসিক অস্থিরতা । সুতরাং সমাজের বুদ্ধিজীবীরা এ বিষয়ে একটা বড়াে পদক্ষেপ নিতে পারে । তারা নানা ধরণের বক্তব্য , সেমিনার এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে এর কুফল প্রচার করতে পারেন । * আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ , মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য । ভালাে থাকুন । নমস্কার

Bengali story


প্রতিবেদকঃ নমস্কার , কার্তিকবাবু । আপনাকে কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চাই ।। কার্তিক ঘােষঃ পশ্চিমবঙ্গে এখন চার হাজারের বেশি ছড়াকার । কিন্তু গদ্য লেখার লােক । কই । সুকুমার রায়ের পর আর ছড়া লিখে লাভ কী ? তাই ঠিক ( Bengali story ) । গল্পই লিখব । ছড়া যে একেবারেই লিখি না 

 তা নয় । তবে গল্পই আমার এখ্যাত সাক্ষাৎকার । কার্তিক ঘােষঃ বলুন । প্রতিবেদকঃ লেখালেখির জগতে কীভাবে এলেন ? কার্তিক ঘােষঃ সে তাে ভাই একটা গল্পের মতাে । জন্ম আমার আরামবাগের কাছে এক গ্রামে । নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান । বাবারও তেমন কোনাে কাজ নেই । স্কুলের গন্ডি পেরােতেই বাবা আমাকে কলকাতায় নিয়ে এলেন । উনি শিয়ালদার একটা দোকানে কাজ করতেন আর আমাকে ভর্তি করে দিলেন । ( Bengali story ) কলেজে । 

Bengali story


ছােটোবেলা থেকেই ভালাে ছবি আঁকতে পারতাম।তারপর সেখানে মন টিকলাে না।এদিক ওদিক ঘুরােঘুরি । পত্র - পত্রিকায় কবিতা , ছড়া , গল্প —এসব পড়তে পড়তে নিজেরও ইচ্ছা হল লিখে ফেলি । লিখতে শুরু করলাম । পাঠিয়ে দিলাম আনন্দবাজার পত্রিকায় । ছাপা । হল । তখন তাে ছড়ার জন্য পাঁচ টাকা পাওয়া যেত । সেই টাকারও দাম । এভাবেই লেখার জগতে আমার প্রবেশ । 

প্রতিবেদকঃ কোনাে সাহিত্যিক আপনাকে সেই সময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন ? 


ঘােষঃ সেএক মজার কথা । তখন কলকাতায় যেখানে যাঅনুষ্ঠান হত পেপারে বিজ্ঞাপন দেখেশুনতে যেতুম।বড়ােবড়াে সাহিত্যিকদের দেখার লােভ সামলাতে পারতাম না । এমনি করেই একদিন তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় , সত্যজিৎ রায় , শিবরাম চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচয় হল।ওঁরা আমাকে খুব ( Bengali story )করতেন । ওঁদের লেখাগুলাে আমি প্রায় সব তখন পড়ে ফেলেছি । একজন ভালাে পাঠক হিসাবে ওরা আমাকে খুব ভালােবাসতেন ।

 তারপর পত্রিকায় চাকরি পেয়ে গেলাম । আমিই তখনকার বিখ্যাত লেখকদের কাছ থেকে লেখা আনতে যেতাম । এই লেখা আনতে গিয়েই পরিচয় । হয়েছিল সমরেশ বসু , প্রেমেন্দ্র মিত্র , তারাপদ রায় প্রমুখের সঙ্গে । প্রতিবেদকঃ আপনি তাে প্রথম দিকে ছােটোদের জন্য ছড়া লিখতেন । গল্প লেখার এলেন কিভাবে ? প্রিয় বিষয় ।

প্রতিবেদকঃ শুধু ছােটোদের ( Bengali story ) কেন লেখেন ? বড়ােদের জন্য আপনাকে তাে লিখতে । কার্তিক ঘােযঃ এটাভাই নিতান্তব্যক্তিগত ব্যাপার । আমার বন্ধুরা অনেকেই ছােটো - বড়াে । 

কার্তিক ঘােষ  ঃ আসলে আমি যাদের জন্য লিখি , তাদের ধারণক্ষমতা বা বােধগম্যতার । সভা নিন দেখি না –এর কারণ কী ? সবার জন্যই লেখেন । আমার একটাই আদর্শ যে , আমি ছােটোদের ছাড়া আর কারােজন্য লিখব না । এই জন্য আমার লেখায় যুক্তাক্ষর খুব কম দেখতে পাবেন।কিশােরও নয় , একদম ছােটোদেরউপযােগী করে লেখাটা আমার সাধনা বলতে পারেন । অনেকে আমাকে বড়ােদের জন্য গল্প । কবিতা লিখতে অনুরােধ করেন , কিন্তু আমি লিখিনা । প্রতিবেদকঃ আপনি তাে শিশুসাহিত্যে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন । সে

Bengali story ) জন্য ? কার্তিক ঘােষর একটি মেয়ে একা’বইটির জন্য আমি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি । এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিশুসাহিত্য অভিজ্ঞান’পুরস্কারও পেয়েছি । আসলে পুরস্কার - টুরস্কারকিছুনয় , ভাই । লেখাটাই আসল । ভালাে লিখলে এখনও পাঠকের ভালােবাসা পাওয়া যায় । 

প্রতিবেদকঃ আপনার শ্রেষ্ঠ রচনা কী ? কার্তিক ঘােষর শ্রেষ্ঠ রচনা বলতে কী বােঝায় বলতে পারব না । তবে গতবছর দে’জ প্রকাশনী আমার কিশাের রচনা সমগ্র প্রকাশ করে আমাকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছে । এই সংকলনেই আমার শ্রেষ্ঠ রচনাগুলি আছে ।

Bengali story


 তাছাড়া পাঠকের বিচারে আমার জনপ্রিয়বই টুম্পুর জন্য ’ , জুইফুলের রুমাল ’ , ফড়িং পাড়ার টড়িং ’ , ‘ প্যাকাটির নৌকা’ইত্যাদি । প্রতিবেদকঃ আপনার আদর্শ সাহিত্যিক কে ? কার্তিক ঘােয  ঃ একজন নয় । তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় , বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় , সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় , শিবরাম চক্রবর্তী ,( Bengali story )

 বুদ্ধদেব গুহ , নবনীতা দেবসেন — এরাই আমার প্রিয় সাহিত্যিক । আরও অনেকে ভালাে লিখেছেন বা লিখছেন —সকলকেই আমি শ্রদ্ধা করি । প্রতিবেদকঃ আপনার লেখা ছােটোদের খুব প্রিয় এর কারণ কী ? দিকে লক্ষ্য রাখি । খুব সাধারণ আটপৌরে শব্দ ও বাক্য প্রয়ােগ এবং পরিচিত পরিবেশ থেকে রচনার উপাদান সংগ্রহ করি বলেই বােধহয় আমার লেখা ছােটোদের খুব প্রিয় ।। ও ধন্যবাদ এতক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য । প্রতিবেদক : কর্তিক ঘােষ ও ধন্যবাদ ।

 বাংলা গানের সেকাল ও একাল নিয়ে প্রখ্যাত সঙ্গীতকার লােপামুদ্রা মিত্র | লােপামুদ্রা মিত্রঃ গানআমার খুব প্রিয় , আরবাংলা গান ভালােবাসি।এখনকারবালেগ । লেখার প্রেরণা । তাই সেইগানগুলাে আমার খুব আপন । আমা ? সাক্ষাৎকার গ্রহণ । 

প্রতিবেদকঃ নমস্কার । একালের বাংলা গান আপনার কেমন লাগে ? এক নতুন পথ পেয়েছে । সম্পূর্ণ নতুন কথা । নতুন সুর আর নয় ( Bengali story ) অবশ্যই । সবকিছু মিলিয়ে খুব ভালাে লাগে । প্রতিবেদক : আপনি তাে কয়েকটা ছবিতেও গান গেয়েছেন রিসেন্টলি । 

Bengali story


অভিজ্ঞতা ? লােপামুদ্রা মিত্রঃ হাঁ । আমি কয়েকটা ছবিতে গান গেয়েছি । আমার প্রথম ছবি ‘ সেদিন । চৈত্রমাস । সুমন দা আমাকে ওই ছবিতে গান গাইয়েছিলেন । সে এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা । গানের জগতের মধ্যেও এক নতুন জগতের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোেগ আমার ওখানেই । প্রতিবেদকঃ এই নতুন জগতের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নিতে কেমন লেগেছে ?

 লােপামুদ্রা মিত্রঃ আমি আনন্দ করে গান গাই । তাই এই নতুন জগতের আনন্দটাকে নিজের মতাে সাজিয়ে নিতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি । বরং ভালােই লেগেছে নিজেকে নতুন সুরে , তালে বেঁধে নিতে । নিজের গানের জায়গাটা ভেঙে এক অন্য জায়গায় অর্থাৎ লােপামুদ্রার প্রতিবেদকঃ গান থেকে সরে এসে একালের সিনেমার গান । কোন্ জায়গাটা ভালােলাগে ? লােপামুদ্রা মিত্র  ঃ যে জায়গাই হােক না কেন

 ( Bengali story ) অফ অল জায়গাটা গানের । আমি ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের কালের রাখাল’তারপর হেমলগ সােসাইটি ' তে | গান গেয়েছি । কিংবা আগে কিছু আধুনিক গানও গেয়েছি । শ্রোতারা । আমার এই দুই ধরনের গানই শুনতে চেয়েছেন । তাই আমার নিজ ভালােলাগার মাপকাঠিটা উভয় দিকেই সমান । একাল তাে হল । সেকালের বাংলা গান আপনার কতটা কাছের।

  প্রতিবেদকঃ লােপামুদ্রা ( Bengali story ) এ বড়াে কঠিন প্রশ্ন । বলতে পারি আমার বড়াে হয়ে ওঠা । বাংলা গান শুনেই । সেই গানগুলােই আমার গান গাওয়ার বা গ সবসময়ের সঙ্গী ।

bengali short





Post a Comment

0 Comments